লাল কাঁকড়ার চর, কুয়াকাটা

লাল কাঁকড়ার চর, কুয়াকাটা

পটুয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলে গত কয়েক দশকে জেগে উঠেছে বেশ কিছু চর। এ সব চরের সৌন্দর্যও অপরূপ। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা বিশাল সম্ভাবনাময় নতুন আর এক চর ‘চরবিজয়’। প্রায় ১০ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। চরটিতে দেখা যায়, লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি, দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জলরাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এ ছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে। মানুষহীন এ চরে মানুষের উপস্থিত টের পেলেই লাল কাঁকড়ার দল ছুটে পালিয়ে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। গর্তে লুকিয়ে থেকেও উঁকি দিয়ে পর্যটকদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কাঁকড়াগুলো, যা বিমোহিত করে পর্যটকদের। ইতোমধ্যে চরটি দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চরটির সন্ধান পাওয়ায় এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। আর এই চরের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন সেখানে।

কিভাবে যাবেন

গঙ্গামতির চর ও কুয়াকাটার সূর্যোদয় স্পট বা সৈকত থেকে পূর্ব দিকে মোটরসাইকেলে একটানা ১৫-২০ মিনিট সময়ে পৌঁছানো যায় লাল কাঁকড়ার চরে। পথে ছোট এক নদীর মোহনা মিলবে। খেয়া নৌকায় মোহনা পাড়ি দিয়ে ফের মোটরসাইকেলে কয়েক মিনিটেই মিলবে লাল কাঁকড়ার চর। একই পথে হেঁটেও আসা সম্ভব এ চরে। এছাড়া সরাসরি হেঁটে বা মোটরসাইকেলে করে বেড়িবাঁধ, মিস্ত্রিপাড়া, লতাচাপলি বাজার কিংবা সৈকতের ওপর দিয়ে যাওয়া ‍যায় লাল কাঁকড়ার চরে। তবে বর্ষার সময়টা বেড়িবাঁধের রাস্তা কর্দমাক্ত থাকায় সেখানে যাওয়া বেশ কষ্টকর। চরের কাঁকড়া দর্শন ও যাতায়াতের জন্য সৈকতেই মিলবে ভাড়ায় মোটরসাইকেল। আনা-নেওয়াসহ জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর পথে খেয়াপারের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। তবে এক্ষেত্রে দরদামও করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আপনিও হতে পারেন এ স্বপ্নের গর্বিত অংশীদার

হালাল উপায়ে বিনিয়োগ এবং আয় করতে চান?

লাল কাঁকড়ার চর, কুয়াকাটা